উত্তরদিনাজপুর

স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে

স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ি সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার ভিন্নগাও গ্রাম পঞ্চায়েতের মেহেরুলা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই গৃহবধুর নাম বিজলী বানু। এই ঘটনায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে চোপড়া থানার মেহেরুলা গ্রামের বাসিন্দা আবু সামাদের সাথে দাস পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আইনুল হকের মেয়ে বিজলী বানুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিজলী বানুর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতো স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। বিয়ের পর থেকে বিজলী বানুকে বারংবার তার বাবার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য তার উপর অত্যাচার চালিয়ে যেত বলে অভিযোগ। গতকাল ওই অত্যাচার চরম সীমায় চলে যায়। বিজলী বানুকে মারধোরের পাশাপাশি তাকে জোড় করে বিষ খাইয়ে গলা টিপে খুন করে বলে অভিযোগ। খবর দেওয়া হয় বিজলী বানুর পরিবারের সদস্যদের। তারা এসে দেখেন তার মেয়ে মৃত অবস্থায় পরে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় চোপড়া থানার পুলিশ। বিজলী বানুর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় বিজলী বানুর পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুর দেবারু মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে চোপড়া থানার পুলিশ। 

বিজলী বানুর বাবা আইনুল হক জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের উপর পন নিয়ে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো। বিয়েতে পন হিসাবে কিছু অর্থ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে আবার টাকা চেয়ে ছিল জামাই। রমজান মাস পেরোলেই টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন মেয়ের বাবা। খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেন তিনি। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে চোপড়া থানার পুলিশ।